ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিহাতীতে টাকা আত্মসাৎ: করতে পাট চাষীদের দায়সারা প্রশিক্ষণ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করতে পাট চাষীদের দায়সারা প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, নাম মাত্র প্রশিক্ষণ ও নিম্ন মানের খাবার দিয়ে অন্তত ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।

অভিযোগ রয়েছে, কালিহাতী ছাড়াও টাঙ্গাইলের ঘাটাইলসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রশিক্ষনের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

জানা যায়, বুধবার কালিহাতীতে ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন পার্ট অধিদপ্তর কালিহাতীর ৭৫ জন পাট চাষীকে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় পাট উৎপাদনকারী চাষীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

তবে প্রশিক্ষণটি সাড়ে ১০ টায় শুরু হয়ে ১ টায় শেষ হয়। ৭৫ জনের জন্য সকালে ৮০ টাকার নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য ৩০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত পাঁচজন পাট চাষী বলেন, সকালের নাস্তায় ৫ টাকা দামের এক প্যাকেট নেক্সাস বিস্কুট, একটি সমচা ও একটি চমচম যার বাজার মূল্য সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ও দুপুরে ১৫০ টাকার বিরিয়ানী দিয়ে বিদায় করেছে।

যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, তা অনেকেই পারিবারিকভাবে জানেন। মুলত টাকা আত্মসাৎ করতে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষনের আয়োজন করেছে। এসব দেখার কি কেউ নাই।

অভিযোগ রয়েছে, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা তার ভাতিজা কালিহাতী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেট মো. আব্দুল্লাহ ব্যবহার করে কম দামের খাবার দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

নবাব বিরিয়ানী হাউজের ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বলেন, পাট অধিদপ্তর ১৫০ টাকা দামের প্যাকেটের বিরিয়ানী নিয়েছে।

কালিহাতী উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ফারুকুজ্জামান বলেন, প্রশিক্ষনে ইউএনও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চাষীদের ক্লাশ নিয়েছেন। টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

এ বিষয়ে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কালিহাতীতে টাকা আত্মসাৎ: করতে পাট চাষীদের দায়সারা প্রশিক্ষণ

আপলোডের সময় : ০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করতে পাট চাষীদের দায়সারা প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, নাম মাত্র প্রশিক্ষণ ও নিম্ন মানের খাবার দিয়ে অন্তত ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম।

অভিযোগ রয়েছে, কালিহাতী ছাড়াও টাঙ্গাইলের ঘাটাইলসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রশিক্ষনের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

জানা যায়, বুধবার কালিহাতীতে ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন পার্ট অধিদপ্তর কালিহাতীর ৭৫ জন পাট চাষীকে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় পাট উৎপাদনকারী চাষীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

তবে প্রশিক্ষণটি সাড়ে ১০ টায় শুরু হয়ে ১ টায় শেষ হয়। ৭৫ জনের জন্য সকালে ৮০ টাকার নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য ৩০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত পাঁচজন পাট চাষী বলেন, সকালের নাস্তায় ৫ টাকা দামের এক প্যাকেট নেক্সাস বিস্কুট, একটি সমচা ও একটি চমচম যার বাজার মূল্য সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ও দুপুরে ১৫০ টাকার বিরিয়ানী দিয়ে বিদায় করেছে।

যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, তা অনেকেই পারিবারিকভাবে জানেন। মুলত টাকা আত্মসাৎ করতে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষনের আয়োজন করেছে। এসব দেখার কি কেউ নাই।

অভিযোগ রয়েছে, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা তার ভাতিজা কালিহাতী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেট মো. আব্দুল্লাহ ব্যবহার করে কম দামের খাবার দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

নবাব বিরিয়ানী হাউজের ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বলেন, পাট অধিদপ্তর ১৫০ টাকা দামের প্যাকেটের বিরিয়ানী নিয়েছে।

কালিহাতী উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ফারুকুজ্জামান বলেন, প্রশিক্ষনে ইউএনও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চাষীদের ক্লাশ নিয়েছেন। টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

এ বিষয়ে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।