
টাঙ্গাইলে যৌতুকের জন্য হত্যা মামলার আসামী জথীকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা।
শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ কাষ্ট সাগরা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর মিডিয়া অফিসার লুৎফা বেগমের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
লুৎফা বেগম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তেতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জথী এ মামলার ৭ নাম্বার আসামী।
পরে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের কাছে আসামীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত (২৫ ফেব্রুয়ারী) সুবর্ণা আক্তারের সাথে তার স্বামী আয়নাল হকের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর আয়নাল হক ও তার পরিবারের লোকজন মোটরসাইকেল বাবদ পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল।
সুবর্ণার পরিবার পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন শারীরিকভাবে অত্যাচার করতে থাকে।
এক পর্যায়ে সুর্বনার পরিবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দুই লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে আরো তিন লাখ টাকা যৌতুকের জন্য অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এ অবস্থায় গত (৮ মে) তিন লাখ টাকা না পেয়ে সুবর্ণা আক্তারকে মারপিট করে হত্যা করে।
পরে ঘরের ধর্ণার সাথে গলায় শাড়ীর আচল পেচিয়ে ঝুলয়ে রাখে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের দাদী রুনা বেগম (৫৬) বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি যৌতুকের জন্য হত্যা মামলা দায়ের করে।