ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ
শিরোনাম :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ

স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রী ফারহানা ফারিহা কাজলের প্রতারণা লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তার স্বামী শওকত তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শওকত তালুকদার জানান, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাচিনা লখাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে ফারহানা ফারিহা কাজলের সঙ্গে ২০১৭ সালে বিয়েতে আবদ্ধ হন।

বিয়ের পর স্ত্রী পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে।

পরে ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর স্ত্রী ফারহানা ফারিহা কাজল আমাকে জানায় সে অস্ট্রেলিয়ার স্কলারশিপ পেয়েছে। সে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবে।

আমি তাতে সম্মতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে সব খরচ বহন করি এবং নগদ ৪ লাখ টাকা সঙ্গে দেই।

তিনি বলেন, সে অস্ট্রেলিয়া গেছে এটা আমাকে বিশ্বাস করাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছবি পাঠাতো।

গত ১৩ মাস শুধু হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতো ও এসএমএস করে কথা বলতো।

অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সে বলে আমাকেসহ এলাকার কিছু লোক নিতে পারবে।

আমি স্ত্রীর কথামতো অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য আরও ৬ লাখ টাকা দেই এবং আমার এলাকার দুজনের নিকট থেকে আরও ২০ লাখ টাকাসহ মোট ৩০ লাখ টাকা দেই।

শুক্রবার উপজেলার ভবানীপুরে নিজ বাড়িতে তিনি এ সংবাদ করেন।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু কিছু দিন পর জানতে পারি আমার স্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় না গিয়ে টাঙ্গাইলে বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে থাকে।

হঠাৎ করে একদিন আমার বাড়ি এসে আমার ফোন হাতে নিয়ে আমাদের কথা বার্তার সব এসএমএস ডিলিট করে দেয়।

তারপর আমার স্ত্রীর ভাই পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে আসে আমি নাকি আমার স্ত্রীকে অপহরণ করেছি।

তিনি বলেন, পরে আমি থানায় গিয়ে এস.আই মিজানুর রহমানের সামনে আমার স্ত্রী ১৮ লাখ টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে আমাকে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেয় এবং ১০০ টাকা স্ট্যাম্পে টাকা নেওয়ার স্বীকারোক্তি দিয়ে স্বাক্ষর করে।

আমাকে টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

শওকত বলেন, আমি এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছি।

আমি কী করবো, আমি বাঁচতে চাই, আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই প্রতারণার বিচার দাবি করছি।

যাতে আমার মতো আর কেউ এরকম প্রতারণার স্বীকার না হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত

আপলোডের সময় : ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫

 

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রী ফারহানা ফারিহা কাজলের প্রতারণা লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তার স্বামী শওকত তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শওকত তালুকদার জানান, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের কাচিনা লখাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে ফারহানা ফারিহা কাজলের সঙ্গে ২০১৭ সালে বিয়েতে আবদ্ধ হন।

বিয়ের পর স্ত্রী পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে।

পরে ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর স্ত্রী ফারহানা ফারিহা কাজল আমাকে জানায় সে অস্ট্রেলিয়ার স্কলারশিপ পেয়েছে। সে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবে।

আমি তাতে সম্মতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে সব খরচ বহন করি এবং নগদ ৪ লাখ টাকা সঙ্গে দেই।

তিনি বলেন, সে অস্ট্রেলিয়া গেছে এটা আমাকে বিশ্বাস করাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছবি পাঠাতো।

গত ১৩ মাস শুধু হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতো ও এসএমএস করে কথা বলতো।

অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সে বলে আমাকেসহ এলাকার কিছু লোক নিতে পারবে।

আমি স্ত্রীর কথামতো অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য আরও ৬ লাখ টাকা দেই এবং আমার এলাকার দুজনের নিকট থেকে আরও ২০ লাখ টাকাসহ মোট ৩০ লাখ টাকা দেই।

শুক্রবার উপজেলার ভবানীপুরে নিজ বাড়িতে তিনি এ সংবাদ করেন।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু কিছু দিন পর জানতে পারি আমার স্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় না গিয়ে টাঙ্গাইলে বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে থাকে।

হঠাৎ করে একদিন আমার বাড়ি এসে আমার ফোন হাতে নিয়ে আমাদের কথা বার্তার সব এসএমএস ডিলিট করে দেয়।

তারপর আমার স্ত্রীর ভাই পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে আসে আমি নাকি আমার স্ত্রীকে অপহরণ করেছি।

তিনি বলেন, পরে আমি থানায় গিয়ে এস.আই মিজানুর রহমানের সামনে আমার স্ত্রী ১৮ লাখ টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে আমাকে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেয় এবং ১০০ টাকা স্ট্যাম্পে টাকা নেওয়ার স্বীকারোক্তি দিয়ে স্বাক্ষর করে।

আমাকে টাকা না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

শওকত বলেন, আমি এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছি।

আমি কী করবো, আমি বাঁচতে চাই, আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই প্রতারণার বিচার দাবি করছি।

যাতে আমার মতো আর কেউ এরকম প্রতারণার স্বীকার না হয়।