ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ
শিরোনাম :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ

টাঙ্গাইলে প্রধান সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ: অডিও ভাইরাল

  • ডেস্ক প্রবাহ
  • আপলোডের সময় : ১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • ৫৩৭৩ Time View

টাঙ্গাইলে প্রধান সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ: অডিও ভাইরাল

টাঙ্গাইলের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা কমিটির সদস্য ইসরাত জাহান রুমি।

এ বিষয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে।

তাতে শোনা গেছে- উর্মি রাসেলকে তার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

অডিওর কথা শুনে বুঝা যায় টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই নেত্রী জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর বিষয়ে অন্য সবাইকে জানাচ্ছে।

ইসরাত জাহান রুমি অডিও বার্তায় বলেন, রাসেল সাহেব আপনি বলছেন যে শূন্য থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কথা কিন্তু আপনি শূন্য থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী একাই বানাইছেন আর কেউ বানায় নাই? আর হাজার হাজার বলতাছেন অন্য জেলার ছবি দেখেন আর টাঙ্গাইলের ছবি দেখেন অনেক পার্থক্য।

অন্য জেলার থেকে টাঙ্গাইল অনেক পিছিয়ে আছে,অন্য জেলায় কমিটিতে লোকজনের অভাব নাই কিন্তু টাঙ্গাইলে লোক নেই।

আপনি ভাবেন আপনি একাই সিদ্ধান্ত নেবেন আর কাউকে দরকার নাই? সিদ্ধান্ত নেন সমস্যা নাই কিন্তু কেন্দ্র তো জানবে তাও জানে না, কেন্দ্রীয় নেতাদের অপেক্ষা করে আপনি একাই সব করেন।

আমার নেতা-কর্মী যারা আছে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। আর আপনার প্রতিটা কর্মীর অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে।

আপনি আমাকে অপমান করছেন, আমি কোনো দিন ট্রান্সফার বাণিজ্য করতে যাই নাই, কোনো দিন তদবির বাণিজ্য করতে যাই নাই, নিজের খেয়ে নিজের নিম্নে পক্ষে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করছি এই সংগঠনে। আপনি কোনোদিন একটা মিটিং করেন নাই।

এ ছাড়া কমিটি করার জন্য কমিটি করছেন সেখানে আমাকে রাখছেন অথচ একটি মিটিংও করেন নাই, আর নারীদের কমিটিতে রাখেন নাই, যাও রাখছেন তাদের কোনদিন ডাকেন না? আপনি কি মনে করেন নারীদের ছাড়া চালাবেন।

আর আপনি এমন কোন লোক নাই যে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতাছেন না।

আর কেন্দ্রীয় নাহিদ ভাই ও একা সিদ্ধান্ত নেয় না আর আপনি একা সব সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি আরও বলেন, গত ২৯ জুলাই যে অনুষ্ঠান করছেন কত লাখ টাকা খরচ হয়েছে কাউকে জানাইছেন? এই বিষয় নিয়ে তো কোনো মিটিং করেন নাই।

যে হেতু আগে সমন্বয় হয় নাই আর এই বিষয় নিয়ে সবাই ক্ষুব্ধ, আর এখনো করতে পারতেন যে এতো টাকা খরচ হয়ছে কিন্তু আপনি করেন নাই, আর যারা আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন করলো তাদের বিরুদ্ধে আপনি ইন্টারভিউ দিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে? কেন আপনি তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারভিউ দিলেন? আপনি কি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলছিলেন? আপনাকে কেন্দ্র সদস্য মেজর ভাই বলার পরেও আপনি শুনলেন না।

আর আমি এনসিপির রাজনীতি করি আপনি রাসেলের রাজনীতি করি না, নাহিদ সার্জিসদের রাজনীতি করি, আর আমরা এমন নেতা চাইছিলাম যার সিদ্ধান্ত অকপটে মেনে নিব যার কোন বদনাম থাকবেনা টাঙ্গাইলে।

এ সময় রুমি বলেন, ২৯ তারিখে পদযাত্রা উপলক্ষ্যে যে সমস্ত তোরণ বানানো হয়েছিলে সেখানে সব থেকে বেশি মাসুদুর রহমান রাসেলের ছিল, অবশ্য এই সদর আসনে তোরণ বেশি থাকার কথা আজাদ খান ভাসানীর কারণ তিনি সদর থেকে নির্বাচন করবে আর আপনি তো ঘাটাইল থেকে করবেন।

আর আপনি অনুষ্ঠানে নাহিদ ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন সবাইকে সরিয়ে কারণ আপনি মিডিয়া কভারে আসতে চান।

আর আমার ছবি নিয়ে কথা বলেন জাতী জানে কে বেশি ছবি দেয়।’

এ ছাড়াও টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিওতে ক্ষোভ ঝাড়েন এই নেত্রী।

এই অডিও ফাঁস হওয়ার বিষয়ে এনসিপির নেত্রী ইসরাত জাহান রুমি বলেন, কী ভাবে ভাইরাল হয়েছে জানি না, একটা সংগঠনের গ্রুপ ছিলে আর এই ভয়েস টা ছিলো জুলাই ৩০ তারিখের।

বিন্দুবাসীনির শিক্ষার্থীদের নিয়ে তখন একটা চাপে ছিলাম, যার ফলে আমরা মনোক্ষণ্ন ছিলাম, ফলে এই ধরনের ক্ষোভ ঝাড়ছি।

বিষয়টা এরকম যে সব উনি আর কেউ দলের না, এসপি অফিস ডিসি অফিস সব জায়গায় উনি।

এ ছাড়া তিনি ঘাটাইল থেকে এনসিপি নিয়ন্ত্রণ করে অথচ হওয়ার কথা জেলা শহর থেকে।

এ দিকে, প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেল জানান, কথা গুলো হয় তো তার ক্ষোভ থেকে বলেছেন।

পরবর্তী সময়ে আলোচনার মাধ্যমে এটা মীমাংসা করা হয়েছে।

দৈ/টা/প্র/অন্তু/১৪/৮/২০২৫।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

টাঙ্গাইলে প্রধান সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ: অডিও ভাইরাল

আপলোডের সময় : ১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

টাঙ্গাইলে প্রধান সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ: অডিও ভাইরাল

টাঙ্গাইলের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা কমিটির সদস্য ইসরাত জাহান রুমি।

এ বিষয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে।

তাতে শোনা গেছে- উর্মি রাসেলকে তার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

অডিওর কথা শুনে বুঝা যায় টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই নেত্রী জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর বিষয়ে অন্য সবাইকে জানাচ্ছে।

ইসরাত জাহান রুমি অডিও বার্তায় বলেন, রাসেল সাহেব আপনি বলছেন যে শূন্য থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কথা কিন্তু আপনি শূন্য থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী একাই বানাইছেন আর কেউ বানায় নাই? আর হাজার হাজার বলতাছেন অন্য জেলার ছবি দেখেন আর টাঙ্গাইলের ছবি দেখেন অনেক পার্থক্য।

অন্য জেলার থেকে টাঙ্গাইল অনেক পিছিয়ে আছে,অন্য জেলায় কমিটিতে লোকজনের অভাব নাই কিন্তু টাঙ্গাইলে লোক নেই।

আপনি ভাবেন আপনি একাই সিদ্ধান্ত নেবেন আর কাউকে দরকার নাই? সিদ্ধান্ত নেন সমস্যা নাই কিন্তু কেন্দ্র তো জানবে তাও জানে না, কেন্দ্রীয় নেতাদের অপেক্ষা করে আপনি একাই সব করেন।

আমার নেতা-কর্মী যারা আছে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। আর আপনার প্রতিটা কর্মীর অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে।

আপনি আমাকে অপমান করছেন, আমি কোনো দিন ট্রান্সফার বাণিজ্য করতে যাই নাই, কোনো দিন তদবির বাণিজ্য করতে যাই নাই, নিজের খেয়ে নিজের নিম্নে পক্ষে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করছি এই সংগঠনে। আপনি কোনোদিন একটা মিটিং করেন নাই।

এ ছাড়া কমিটি করার জন্য কমিটি করছেন সেখানে আমাকে রাখছেন অথচ একটি মিটিংও করেন নাই, আর নারীদের কমিটিতে রাখেন নাই, যাও রাখছেন তাদের কোনদিন ডাকেন না? আপনি কি মনে করেন নারীদের ছাড়া চালাবেন।

আর আপনি এমন কোন লোক নাই যে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতাছেন না।

আর কেন্দ্রীয় নাহিদ ভাই ও একা সিদ্ধান্ত নেয় না আর আপনি একা সব সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি আরও বলেন, গত ২৯ জুলাই যে অনুষ্ঠান করছেন কত লাখ টাকা খরচ হয়েছে কাউকে জানাইছেন? এই বিষয় নিয়ে তো কোনো মিটিং করেন নাই।

যে হেতু আগে সমন্বয় হয় নাই আর এই বিষয় নিয়ে সবাই ক্ষুব্ধ, আর এখনো করতে পারতেন যে এতো টাকা খরচ হয়ছে কিন্তু আপনি করেন নাই, আর যারা আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন করলো তাদের বিরুদ্ধে আপনি ইন্টারভিউ দিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে? কেন আপনি তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারভিউ দিলেন? আপনি কি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলছিলেন? আপনাকে কেন্দ্র সদস্য মেজর ভাই বলার পরেও আপনি শুনলেন না।

আর আমি এনসিপির রাজনীতি করি আপনি রাসেলের রাজনীতি করি না, নাহিদ সার্জিসদের রাজনীতি করি, আর আমরা এমন নেতা চাইছিলাম যার সিদ্ধান্ত অকপটে মেনে নিব যার কোন বদনাম থাকবেনা টাঙ্গাইলে।

এ সময় রুমি বলেন, ২৯ তারিখে পদযাত্রা উপলক্ষ্যে যে সমস্ত তোরণ বানানো হয়েছিলে সেখানে সব থেকে বেশি মাসুদুর রহমান রাসেলের ছিল, অবশ্য এই সদর আসনে তোরণ বেশি থাকার কথা আজাদ খান ভাসানীর কারণ তিনি সদর থেকে নির্বাচন করবে আর আপনি তো ঘাটাইল থেকে করবেন।

আর আপনি অনুষ্ঠানে নাহিদ ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন সবাইকে সরিয়ে কারণ আপনি মিডিয়া কভারে আসতে চান।

আর আমার ছবি নিয়ে কথা বলেন জাতী জানে কে বেশি ছবি দেয়।’

এ ছাড়াও টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিওতে ক্ষোভ ঝাড়েন এই নেত্রী।

এই অডিও ফাঁস হওয়ার বিষয়ে এনসিপির নেত্রী ইসরাত জাহান রুমি বলেন, কী ভাবে ভাইরাল হয়েছে জানি না, একটা সংগঠনের গ্রুপ ছিলে আর এই ভয়েস টা ছিলো জুলাই ৩০ তারিখের।

বিন্দুবাসীনির শিক্ষার্থীদের নিয়ে তখন একটা চাপে ছিলাম, যার ফলে আমরা মনোক্ষণ্ন ছিলাম, ফলে এই ধরনের ক্ষোভ ঝাড়ছি।

বিষয়টা এরকম যে সব উনি আর কেউ দলের না, এসপি অফিস ডিসি অফিস সব জায়গায় উনি।

এ ছাড়া তিনি ঘাটাইল থেকে এনসিপি নিয়ন্ত্রণ করে অথচ হওয়ার কথা জেলা শহর থেকে।

এ দিকে, প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেল জানান, কথা গুলো হয় তো তার ক্ষোভ থেকে বলেছেন।

পরবর্তী সময়ে আলোচনার মাধ্যমে এটা মীমাংসা করা হয়েছে।

দৈ/টা/প্র/অন্তু/১৪/৮/২০২৫।