ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বাড়িতে আগুনের ভিডিওটি ভুয়া: পুলিশ ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা
শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বাড়িতে আগুনের ভিডিওটি ভুয়া: পুলিশ ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা

টাঙ্গাইলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক: ৩ মাসেই ভাঙন

টাঙ্গাইলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সড়কে তিন মাসের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে দিনদিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সড়কটি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সমগ্রী ব্যবহার করার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার সঠিক নিয়মে কাজটি করেছে বলে জানানো হয়েছে এলজিইডির পক্ষ থেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাসালিয়া প্রাইমারি স্কুলের পাশ দিয়ে এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। কাজটি পায় ভূঞাপুরের এমদাদ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ওই সময় সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনের প্রভাব খাটিয়ে মোতালেব হোসেন নামে এক ব্যক্তি কাজটি কিনে নেন। পরবর্তীতে কাজটি বাস্তবায়ন করেন শামীম হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তি।

সড়ক নির্মাণের কাজটি গত বছর (৮ এপ্রিল) শুরু হয়ে চলতি বছরের (৭ এপ্রিল) শেষ হয়। সড়ক শোল্ডার অংশসহ ১৬ ফুট হওয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১২ ফুট করা হয়েছে। সড়কে নিম্নমানের নির্মাণ সমগ্রী ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে।

তারা আরো অভিযোগ করেন, সড়কের দক্ষিণ পাশে নিম্নমানের চিকন বাঁশ দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। বৃষ্টি শুরুর আগেই সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে দুই পাশে গাছ থাকলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সে দিকেও ভেঙে যাচ্ছে।

এ কারণে মাঝারি যানবাহন নিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে চালকদের। সড়ক নির্মাণের সময় ঠিকাদার ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের অবগত করা হলেও তারা বিষয়টির কোনো সুরাহা করেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদত হোসেন বলেন, ‍এ সড়কটি বিভিন্ন উপজেলার ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ ব্যবহার করেন। সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পিকআপ ভ্যানের চালক আজহার মিয়া বলেন, এই সড়কে গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝারি যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যাচ্ছে। ফলে সময় ও জ্বালানির খরচ বেশি হচ্ছে।

ঠিকাদারের দায়িত্বে থাকা শামীম হোসেন বলেন, সঠিকভাবেই কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন জানান, আমার জানা মতে ঠিকাদার সঠিক নিয়মেই কাজটি করেছেন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বাড়িতে আগুনের ভিডিওটি ভুয়া: পুলিশ

টাঙ্গাইলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক: ৩ মাসেই ভাঙন

আপলোডের সময় : ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

টাঙ্গাইলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সড়কে তিন মাসের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে দিনদিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে সড়কটি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সমগ্রী ব্যবহার করার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার সঠিক নিয়মে কাজটি করেছে বলে জানানো হয়েছে এলজিইডির পক্ষ থেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাসালিয়া প্রাইমারি স্কুলের পাশ দিয়ে এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। কাজটি পায় ভূঞাপুরের এমদাদ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ওই সময় সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনের প্রভাব খাটিয়ে মোতালেব হোসেন নামে এক ব্যক্তি কাজটি কিনে নেন। পরবর্তীতে কাজটি বাস্তবায়ন করেন শামীম হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তি।

সড়ক নির্মাণের কাজটি গত বছর (৮ এপ্রিল) শুরু হয়ে চলতি বছরের (৭ এপ্রিল) শেষ হয়। সড়ক শোল্ডার অংশসহ ১৬ ফুট হওয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১২ ফুট করা হয়েছে। সড়কে নিম্নমানের নির্মাণ সমগ্রী ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে।

তারা আরো অভিযোগ করেন, সড়কের দক্ষিণ পাশে নিম্নমানের চিকন বাঁশ দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। বৃষ্টি শুরুর আগেই সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে দুই পাশে গাছ থাকলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সে দিকেও ভেঙে যাচ্ছে।

এ কারণে মাঝারি যানবাহন নিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে চালকদের। সড়ক নির্মাণের সময় ঠিকাদার ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের অবগত করা হলেও তারা বিষয়টির কোনো সুরাহা করেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদত হোসেন বলেন, ‍এ সড়কটি বিভিন্ন উপজেলার ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ ব্যবহার করেন। সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পিকআপ ভ্যানের চালক আজহার মিয়া বলেন, এই সড়কে গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝারি যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যাচ্ছে। ফলে সময় ও জ্বালানির খরচ বেশি হচ্ছে।

ঠিকাদারের দায়িত্বে থাকা শামীম হোসেন বলেন, সঠিকভাবেই কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন জানান, আমার জানা মতে ঠিকাদার সঠিক নিয়মেই কাজটি করেছেন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।