
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আজ সোমবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।
প্রতিবারের মতো এবারও কিছু পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে, যার ফলে এ সব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে কিছু খাতে করছাড় ও ভর্তুকি দেওয়ার কারণে কিছু পণ্যের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এ দিকে এবারের বাজেটে সিগারেটের দাম আরও এক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বাড়ানো হয়েছিল। তখন নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের শুল্ক কাঠামোয় নতুন করে পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।
তবে তামাক শিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। এতে সিগারেটের দামে আবারও প্রভাব পড়তে পারে।
উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধূমপান বা ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে মৃত্যু ঘটে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের সম্মিলিত ফল।