বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও টাঙ্গাইল ক্লাবের আজীবন সদস্য এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, দেশ ও জনগনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত কিন্তু থেমে নাই।
আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে এই চক্রান্ত যেন জয়ী হতে না পারে। জনগনের সম্পদ যেন জনগনের হাতেই থাকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভুলন্ঠিত না হয়। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হই। দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলি। যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে। মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে।
ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে। যেখানে শিক্ষার ব্যবস্থা ভালো থাকবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই সুন্দর দেশ গঠনের জন্য বিএনপিকে দরকার।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে টাঙ্গাইল ক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাম পিন্টু বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ছিলেন তখন রাস্তাঘাট, ঢাকার ফ্লাইওভার তৈরী চিন্তা ও ছক তিনি তার ভাবনায় রেখেছিলেন। তিনি দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই দেশের ভালো কাজগুলো করেছেন।
বেগম জিয়া যে ফ্লাইওভারের কাজ শুরু করে ছিলেন সেটা আওয়ামী সরকার শেষ করে বাহবা নিয়েছেন। কম বাজেটকে দ্বিগুন করে কাজ শেষ করেছেন।
জিয়াউর রহমান বলতেন, যে দেশের মানুষের পরনের কাপড় নাই,সেই দেশের উচ্চ বিলাসিতা পরিকল্পনার দরকার নাই।
তিনি আরো বলেন, সকলের উপলদ্ধির মধ্যে রাখতে হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছিলাম একাত্তুরে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে।
সেই যুদ্ধের বিধ্বস্থ দেশকে সেই সময় আমাদের নেতা জিয়াউর সুন্দর সুফলা ও একটি গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন। সুখি সৃমদ্ধ ও জনগনের বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বলেন, এই দেশে কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করেছিলেন। দেশটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে তৈরী করার প্রক্রিয়া ছিলো। সেই সময় কিন্তু চক্রান্ত করে জিয়াউরকে হত্যা করে ছিলেন।
জিয়া রহমানকে হত্যার পর এদেশের মানুষ তার আদর্শকে ধারন করেছিলো বলেই বেগম খালেদা জিয়ার পিছনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন এবং যা এখনও বিরাজমান আছে।
তিনি বলেন, ৯১ সালে মানুষ মনে করে ছিলো বিএনপি ক্ষমতায় যাবে না, আওয়ামী ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু এই দেশের মানুষ জিয়ার আদর্শকে ধারন করে ছিলো বলেই বিএনপি ক্ষমতায় এসে ছিলো এবং বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ছিলেন। বেগম জিয়া চেষ্টা করেছিলেন জিয়ার আদর্শে দেশকে পরিচালনা করতে।
কিন্তু চক্রান্ত করে বেগম জিয়াকে বার বার ক্ষমতা চ্যুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিনা বিচারে কারাবদ্ধ করে রেখেছেন। জেলের বাইরে থেকে তাকে রাজনীতি করতে দেয়নি। অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে তার করুণ অবস্থা তৈরী করে ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলী ইমাম তপন, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, টাঙ্গাইল ক্লাবের আজীবন সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন, সালামত হোসেন খান দেলু প্রমুখ।
এ সময় টাঙ্গাইল ক্লাবের অন্যান্য সদস্য এবং বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল ক্লাবের কার্যকরি কমিটির সদস্য সোপান।
<p style="text-align: center;">সম্পাদক - আব্দুস ছালাম মিয়া।</p><p style="text-align: center;"><br></p><p style="text-align: center;">নির্বাহী সম্পাদক - অন্তু দাস (হৃদয়)।</p><p style="text-align: center;"><br></p><p style="text-align: center;">প্রকাশক - জহির আহাম্মেদ।</p>
Copyright © 2025 টাঙ্গাইল প্রবাহ. All rights reserved.