
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের হাযরাবাড়ী গ্রামে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে প্রেমিক আটক।
হাজরাবাড়ী এলাকার ইদ্দিস আলীর বিবাহিত কণ্যা এক সন্তানের জননী ইসমত আরা (২৩) ও কদমতলী গ্রামের ছানোয়ার হোসেন ছানা’র বিবাহিত ছেলে শরীফ হোসেন (২৮) এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক চলে আসছিলো।
সোমবার (৯ জুন) রাত ১২টার পর ঈদের শুভেচ্ছা ও প্রেমের ভালোবাসা বিনিময় কালে এক রুমের ভিতরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পায়তারা চালায় স্থানীয় কয়েক মাতাব্বর বলে জানায় প্রত্যেক্ষদোষীরা।
এ ঘটনায় অবরুদ্ধ হওয়া প্রেমিক শরীফ হোসেন জানান, আমার প্রেমিকা ইসমত আরা এক সন্তানের জননী। তার সাথে আমার দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। প্রতিনিয়তই দেখা করে অসংখ্য বার শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি।
তবে এখন আমি বিয়ে করতে চাইলে তারা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমি তাদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি এবং সঠিক বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় (১ নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য আয়ুব আলী জানান, ইসমত আরা কে তার পরিবার এই উপজেলার পৌরসভার বর্ণিচন্দবাড়ী এলাকার রহুল আমীনের কাছে বিয়ে দেয়। সেই ঘরে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
কিন্তু সে মেয়ে সেখানেও তার স্বামীর সাথে ঝামেলা করে ১ বছর যাবত বাপের বাড়ী চালে এসেছে। ওই স্বামীর নামে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামমলা দায়ের করেছে। আবার গতকাল রাতে শরীফের সাথে একি রুমে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে।
এখন ইসমত আরা ও তারা পরিবার বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছে। এই মেয়ে একাধিক ছেলেদের সাথে প্রেম ভালোবাসার পরকীয়া সম্পর্ক করে, এটা বহুবার এলাকাবাসী জানতে পেরেছে। এঘটনায় সঠিক বিচার হওয়া দরকার।
ইসমত আরা এর স্বামী রহুল আমিন জানান, ইসমত আরার অন্য ছেলের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক জানতে পারায় কথা কাটাকাটি হলে বাপের বাড়ী চলে আসে।
পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন। এখন তার অপকর্ম আজ তো ধরা পড়ল এলাকাবাসীর হাতে। এরকম মহিলাদের উচিৎ বিচার হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শহিদুল্লাহ বলেন, অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।