
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সোমবার উল্লেখযোগ্য দরপতনের পর বুধবার (২৮ মে) মূল্যবার ধাতুটির বাজার ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ‘ডিপ বাই’ প্রবণতা এই মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে।
ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ নীতিগত সভার কার্যবিবরণী ও আসন্ন অর্থনৈতিক উপাত্ত প্রকাশের আগে বাজারে অনিশ্চয়তা থাকলেও স্বর্ণের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আবারও জাগ্রত হয়েছে। খবর রয়টার্স
গ্রিনিচ মান সময় সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট স্বর্ণের দাম ০.৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩১৯.৬১ মার্কিন ডলার।
এর আগের দিন স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলারের নিচে নেমে গিয়ে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ২৮৫.১৯ ডলারে পৌঁছেছিল। মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারসও একই হারে বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩১৮.৬০ ডলার।
রিলায়েন্স সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ পণ্য বিশ্লেষক জিগার ত্রিবেদী বলেন, ‘গতকালের তীব্র পতনের পর আজ মূলত দরপতনের সুযোগে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণ কিনছেন। পাশাপাশি ফেডের সভার কার্যবিবরণী প্রকাশের আগে বাজারে একটি প্রতীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ মনোভাব বিরাজ করছে।
বুধবার দিবাগত রাতে ফেডের সভার কার্যবিবরণী প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে এবং শুক্রবার এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত ভোগব্যয় (পিসিই) ডেটা প্রকাশিত হবে। এ ছাড়াও, পুরো সপ্তাহজুড়ে একাধিক ফেড কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন, যা সুদের হারের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
এক্সিনিটি গ্রুপের প্রধান বিশ্লেষক হান তান বলেন, যদি পিসিই প্রত্যাশার চেয়ে কম আসে, তবে এটি মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাস করে স্বর্ণের দাম বাড়াতে পারে এবং ফেডের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা জোরদার করবে।
এ দিকে নিউইয়র্ক ফেড প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামস এক বক্তব্যে জানান, ‘যখন মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যচ্যুত হয়, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচিত দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো।
গত ডিসেম্বর থেকে ফেডারেল রিজার্ভ তাদের নীতিগত সুদের হার ৪.২৫ শতাংশ-৪.৫০ শতাংশ পর্যায়ে স্থির রেখেছে। তারা এখন অর্থনীতির স্পষ্ট ইঙ্গিতের অপেক্ষায় রয়েছে, পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের ফলে সৃষ্ট বাজারের অস্থিরতাও বিবেচনায় রেখেছে।
বিএনপি প্যারিবা পূর্বাভাস দিয়েছে, তৃতীয় প্রান্তিকে মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারের গড় দাম হতে পারে ৩ হাজার ৬৮৫ ডলার এবং চতুর্থ প্রান্তিকে তা বেড়ে ৩ হাজার ৮৫০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে।
অন্যদিকে, রুপার দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩৩.৩৫ ডলার, প্লাটিনামের দাম ১.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৯৩.৫৫ এবং প্যালাডিয়ামের দাম অপরিবর্তিত থেকে যায় ৯৭৮.২৭ ডলারে।