ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সখীপুরে পলিনেট হাউজে টমেটো চাষে লাভবান রুমা আক্তার

টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় পলিনেট হাউজে বিভিন্ন সবজির আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। বিশেষ করে টমেটোর আবাদ বেশ জনপ্রিয়।

টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার নামদারপুর গ্রামের গৃহিণী রুমা আক্তার পলিনেট হাউজে টমেটোর আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন সবজি আবাদে।

পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় খুব সহজেই। কৃষি বিভাগ থেকেই চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।

জানা যায়, সরকারি সহযোগিতায় সখীপুর উপজেলার নামদারপুর গ্রামের গৃহিণী রুমা আক্তার পলিনেট হাউজে এবার টমেটোর আবাদ করেন।

বাজারে সাধারণ টমেটোর দাম ২০ টাকা কেজি হলেও তার টমেটো বিক্রি করেছেন ৫০ টাকা কেজি দরে। লাল টকটকে ও পোকার আক্রমণ বা কোনো দাগ না থাকায় দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই স্বাদের দিক থেকেও অতুলনীয়।

মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এ দিকে কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলে ৬৮০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। ফলন এসেছে ১১ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টন।

এবার বাজারে টমেটোর দাম অনেক কম ছিল। তারপরও পরিকল্পিত উপায়ে টমেটোর আবাদ করায় অনেকেই লাভবান হয়েছেন।

এ ব্যাপারে রুমা আক্তার বলেন, আমি ৪-৫ শতাংশ জমিতে পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করেছি। এতে ফলন ভালো হয়েছে। আমার ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কোনো প্রকার পোকা আক্রমণ করেনি।

এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। যে কেউ ইচ্ছে করলে কম খরচে এভাবে টমেটো চাষ করতে পারবেন।

স্থানীয়রা বলেন, রুমার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন টমেটো আবাদের। আমরা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই টমেটো আবাদের মাধ্যমে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ জানান, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় ১২টি পলিনেট হাউজ আছে। বিশেষ করে এ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করে কৃষকেরা দাম ভালো পাচ্ছেন।

এ ছাড়াও গ্রীষ্মকালে অনেকেই পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করছেন। এতে বেশ লাভবানও হচ্ছেন। পলিনেট হাউজে টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদে কৃষকদের তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করা হচ্ছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সখীপুরে পলিনেট হাউজে টমেটো চাষে লাভবান রুমা আক্তার

আপলোডের সময় : ৬ ঘন্টা আগে
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় পলিনেট হাউজে বিভিন্ন সবজির আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। বিশেষ করে টমেটোর আবাদ বেশ জনপ্রিয়।

টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার নামদারপুর গ্রামের গৃহিণী রুমা আক্তার পলিনেট হাউজে টমেটোর আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন সবজি আবাদে।

পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় খুব সহজেই। কৃষি বিভাগ থেকেই চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।

জানা যায়, সরকারি সহযোগিতায় সখীপুর উপজেলার নামদারপুর গ্রামের গৃহিণী রুমা আক্তার পলিনেট হাউজে এবার টমেটোর আবাদ করেন।

বাজারে সাধারণ টমেটোর দাম ২০ টাকা কেজি হলেও তার টমেটো বিক্রি করেছেন ৫০ টাকা কেজি দরে। লাল টকটকে ও পোকার আক্রমণ বা কোনো দাগ না থাকায় দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই স্বাদের দিক থেকেও অতুলনীয়।

মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এ দিকে কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলে ৬৮০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। ফলন এসেছে ১১ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টন।

এবার বাজারে টমেটোর দাম অনেক কম ছিল। তারপরও পরিকল্পিত উপায়ে টমেটোর আবাদ করায় অনেকেই লাভবান হয়েছেন।

এ ব্যাপারে রুমা আক্তার বলেন, আমি ৪-৫ শতাংশ জমিতে পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করেছি। এতে ফলন ভালো হয়েছে। আমার ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কোনো প্রকার পোকা আক্রমণ করেনি।

এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। যে কেউ ইচ্ছে করলে কম খরচে এভাবে টমেটো চাষ করতে পারবেন।

স্থানীয়রা বলেন, রুমার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন টমেটো আবাদের। আমরা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই টমেটো আবাদের মাধ্যমে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ জানান, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় ১২টি পলিনেট হাউজ আছে। বিশেষ করে এ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করে কৃষকেরা দাম ভালো পাচ্ছেন।

এ ছাড়াও গ্রীষ্মকালে অনেকেই পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করছেন। এতে বেশ লাভবানও হচ্ছেন। পলিনেট হাউজে টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদে কৃষকদের তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করা হচ্ছে।