ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে কৃষক হত্যায় মা-মেয়ের যাবজ্জীবন

  • ডেস্ক প্রবাহ
  • আপলোডের সময় : ০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ৫০২২ Time View

টাঙ্গাইলে কৃষক মো. শামসুল হত্যা মামলায় একই গ্রামের মা-মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৮ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল জজ দিলারা আলো চন্দনা এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাকুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী রাহিমন ও তার মেয়ে রোজিনা।

স্পেশাল জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে শামসুল বাড়ির পাশে ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন।

পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী রাহিমন, মেয়ে রোজিনা ও ছেলে রফিকুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শামসুলকে মারধর করেন।

পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পর মারা যান শামসুল।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামসুলের স্ত্রী জামিরন বেগম টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী রাহিমন, মেয়ে রোজিনা ও ছেলে রফিকুল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুবরণ করার পর ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট অপর তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। রফিকুল ইসলাম শিশু হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান।

আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, আমরা সঠিক বিচার পেয়েছি। রফিকুল ইসলামের বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ হবে।

মামলার বাদী জামিরন বেগম বলেন, আমি সঠিক বিচার পেয়েছি। রফিকুল ইসলামকে অভিযোগপত্রে শিশু উল্লেখ করলেও তিনি শিশু নয়। তার ফাঁসি দাবি করছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

টাঙ্গাইলে কৃষক হত্যায় মা-মেয়ের যাবজ্জীবন

আপলোডের সময় : ০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলে কৃষক মো. শামসুল হত্যা মামলায় একই গ্রামের মা-মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৮ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল জজ দিলারা আলো চন্দনা এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাকুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী রাহিমন ও তার মেয়ে রোজিনা।

স্পেশাল জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে শামসুল বাড়ির পাশে ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন।

পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী রাহিমন, মেয়ে রোজিনা ও ছেলে রফিকুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শামসুলকে মারধর করেন।

পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পর মারা যান শামসুল।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামসুলের স্ত্রী জামিরন বেগম টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী রাহিমন, মেয়ে রোজিনা ও ছেলে রফিকুল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুবরণ করার পর ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট অপর তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। রফিকুল ইসলাম শিশু হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান।

আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, আমরা সঠিক বিচার পেয়েছি। রফিকুল ইসলামের বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ হবে।

মামলার বাদী জামিরন বেগম বলেন, আমি সঠিক বিচার পেয়েছি। রফিকুল ইসলামকে অভিযোগপত্রে শিশু উল্লেখ করলেও তিনি শিশু নয়। তার ফাঁসি দাবি করছি।