ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ
শিরোনাম :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ

বাসাইলে ১৮ বছরেও কাজ শেষ করেনি কাদের সিদ্দিকীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ১৮ মাসের কাজ ১৮ বছরেও শেষ হয়নি।

এতে করে বাসাইল উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়ায় ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি হাসপাতালটি।

অপারেশন থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এসব সেবা মিলছে না। সামান্য কাটাছেঁড়ার জন্যও রোগীকে টাঙ্গাইলে রেফার করা হয়।

এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলার আড়াই লাখ মানুষকে। স্থানীয়রা দ্রুত পরিপূর্ণ সেবা পাওয়ার দাবি জানান।

জানা যায়, সারাদেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় রূপান্তরের গেজেট হলে ২০০৬ সালে বাসাইল উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা কনস্ট্রাকশন এখানে ভবন নির্মাণের কাজ পায়। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল।

কিন্তু প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পর সরকারের সঙ্গে নানা টানাপোড়েনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকা পড়ে নির্মাণ কাজ। যার ফলে ১৮ মাসের কাজ ১৮ বছরেও আর শেষ হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভবনটি।

সূত্র জানায়, অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়ায় বাসাইল উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা হয়। অথচ সামান্য কাটাছেঁড়ার রোগীকেও বাসাইল থেকে টাঙ্গাইলে রেফার করা হয়।

প্রতিদিন এ হাসপাতালের আউট ডোরে প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

রোগী ও স্থানীয়রা জানান, নরমাল ডেলিভারি এবং সিজার ছাড়া আর তেমন চিকিৎসা সেবা মেলে না এখানে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও অবকাঠামো না থাকায় কোনো প্রচার অপারেশন হচ্ছে না। কোনো কিছু হলেই টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়।

অনেক সময় রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়। হাসপাতালের ওষুধও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। বিশেষ করে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি না।

হাসপাতাল সূত্রে, প্রায় পরিত্যক্ত ওই ভবনটিতে অনেক সময় মাদকের আড্ডাও হয়। আবার সম্প্রতি হাসপাতালের এসির তারও চুরি হয়েছে। প্রায় পরিত্যক্ত ওই ভবনটির জানালাসহ অনেক কিছুই নিয়ে গেছে একটি চক্র।

হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুজাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ভবন না থাকার কারণে আমাদের চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। রোগীদের ঠিকমতো প্রাইভেসি মেনটেইন করতে পারছি না। অনেক সময় রোগীরা আমাদের সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না।

এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শার্লি হামিদ জানান, আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় ৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসক দরকার প্রায় ১৭ থেকে ১৮ জন।

অনেক চিকিৎসক দিনে ও রাতেও কাজ করছেন। সম্প্রতি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে আনা হয়েছে। চিকিৎসক এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের জন্য বাজেট বরাদ্দ এসেছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের এনওসি না দেওয়ার কারণে বরাদ্দ চলে গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা কনস্ট্রাকশনে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

দৈ/টা/প্র/অ/২৪/০৪/২০২৫।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

বাসাইলে ১৮ বছরেও কাজ শেষ করেনি কাদের সিদ্দিকীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

আপলোডের সময় : ০১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ১৮ মাসের কাজ ১৮ বছরেও শেষ হয়নি।

এতে করে বাসাইল উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়ায় ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি হাসপাতালটি।

অপারেশন থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এসব সেবা মিলছে না। সামান্য কাটাছেঁড়ার জন্যও রোগীকে টাঙ্গাইলে রেফার করা হয়।

এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলার আড়াই লাখ মানুষকে। স্থানীয়রা দ্রুত পরিপূর্ণ সেবা পাওয়ার দাবি জানান।

জানা যায়, সারাদেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় রূপান্তরের গেজেট হলে ২০০৬ সালে বাসাইল উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা কনস্ট্রাকশন এখানে ভবন নির্মাণের কাজ পায়। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল।

কিন্তু প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পর সরকারের সঙ্গে নানা টানাপোড়েনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকা পড়ে নির্মাণ কাজ। যার ফলে ১৮ মাসের কাজ ১৮ বছরেও আর শেষ হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভবনটি।

সূত্র জানায়, অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়ায় বাসাইল উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা হয়। অথচ সামান্য কাটাছেঁড়ার রোগীকেও বাসাইল থেকে টাঙ্গাইলে রেফার করা হয়।

প্রতিদিন এ হাসপাতালের আউট ডোরে প্রায় ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

রোগী ও স্থানীয়রা জানান, নরমাল ডেলিভারি এবং সিজার ছাড়া আর তেমন চিকিৎসা সেবা মেলে না এখানে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও অবকাঠামো না থাকায় কোনো প্রচার অপারেশন হচ্ছে না। কোনো কিছু হলেই টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়।

অনেক সময় রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়। হাসপাতালের ওষুধও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। বিশেষ করে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি না।

হাসপাতাল সূত্রে, প্রায় পরিত্যক্ত ওই ভবনটিতে অনেক সময় মাদকের আড্ডাও হয়। আবার সম্প্রতি হাসপাতালের এসির তারও চুরি হয়েছে। প্রায় পরিত্যক্ত ওই ভবনটির জানালাসহ অনেক কিছুই নিয়ে গেছে একটি চক্র।

হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুজাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ভবন না থাকার কারণে আমাদের চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। রোগীদের ঠিকমতো প্রাইভেসি মেনটেইন করতে পারছি না। অনেক সময় রোগীরা আমাদের সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না।

এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শার্লি হামিদ জানান, আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় ৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসক দরকার প্রায় ১৭ থেকে ১৮ জন।

অনেক চিকিৎসক দিনে ও রাতেও কাজ করছেন। সম্প্রতি হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে আনা হয়েছে। চিকিৎসক এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের জন্য বাজেট বরাদ্দ এসেছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের এনওসি না দেওয়ার কারণে বরাদ্দ চলে গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা কনস্ট্রাকশনে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

দৈ/টা/প্র/অ/২৪/০৪/২০২৫।