ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ
শিরোনাম :
ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ টাঙ্গাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে প্রতারক হাফিজউদ্দিন হাবিব সরকার গ্রেফতার বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক অভিযোগ: টাঙ্গাইলে দুদকের গণশুনানি টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা: শতাধিক অভিভাবক নিয়ে সংবাদের তদন্ত করার অভিযোগ স্ত্রীর প্রতারণার বর্ণনা দিলেন কালিহাতীর শওকত টাঙ্গাইলে ৪৯ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩ মির্জাপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ

ভূঞাপুরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা নিতে রোগীদের দুর্ভোগ: নিজেই এখন রোগী

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান ও পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা। বিশেষ করে হাসপাতালের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা।

এ ছাড়াও মানহীন খাবার, দুর্গন্ধময় শৌচাগার ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অপ্রাপ্তির কথা তুলে ধরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

হাসপাতাল ও রোগীদের সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে সিজার অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সামান্য কাটাছেঁড়ার জন্য রোগীকে টাঙ্গাইল শহরে পাঠানো হয়। নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

এ ছাড়াও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা ঠিক মতো চালু করা হয় না। বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায়। চার্জিং বাল্বের ব্যবস্থা থাকলেও তা কয়েকটি বাতিতে সীমাবদ্ধ। বাকি অংশ অন্ধকারে থাকে, যা রাতে রোগী ও স্বজনদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সরেজমিনে, দোতলায় উঠার সিঁড়িতে বেশ ময়লা। মেঝেতেও ময়লার দাগ। দেয়ালের কোথাও কোথাও কফ, থুতু ও পানের পিকের দাগ লেগে আছে। রোগীদের শৌচাগার দীর্ঘদিন পরিষ্কার না নোংরা হয়ে আছে।

এ ছাড়া বেসিনের অবস্থাও নাজুক। এসব নিয়ে রোগী ও স্বজনরা নিয়মিত অভিযোগ করলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।

গোপালপুর থেকে আসা রোগী মৌসুমি আক্তার বলেন, হাসপাতালের খাবারের মান ভালো না। আমরা সব সময় বাইরে থেকে কিংবা বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসি। পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। স্যালাইন ছাড়া আর কোনো ওষুধ দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

মৌসুমি আক্তারের ১০ বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়ার ভাষ্য, হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে বমি বমি ভাব হয়েছিল। পরে টয়লেট না করেই চলে এসেছি।

রহিমা নামের এক রোগীর আত্মীয় বলেন, হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা খুবই বাজে। কোনো সময়ই পরিষ্কার করা হয় না। কোনো মানুষ এখানে টয়লেট করতে পারেন না। হাসপাতালের লোকজন কোনো কাজ করে না। আমরা খুব কষ্টে হাসপাতালে অবস্থান করি, দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবাহান বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের সরবরাহ নেই। টয়লেট পরিষ্কার করার মতো লোক নেই। বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে কাজ করাতে করতে হয়।

এ ছাড়া এক বছর ধরে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় সিজার হচ্ছে না। এসব বিষয় সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। তবুও আমরা যথাযথ সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

ভূঞাপুরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা নিতে রোগীদের দুর্ভোগ: নিজেই এখন রোগী

আপলোডের সময় : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান ও পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা। বিশেষ করে হাসপাতালের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা।

এ ছাড়াও মানহীন খাবার, দুর্গন্ধময় শৌচাগার ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অপ্রাপ্তির কথা তুলে ধরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

হাসপাতাল ও রোগীদের সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে সিজার অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সামান্য কাটাছেঁড়ার জন্য রোগীকে টাঙ্গাইল শহরে পাঠানো হয়। নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

এ ছাড়াও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা ঠিক মতো চালু করা হয় না। বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায়। চার্জিং বাল্বের ব্যবস্থা থাকলেও তা কয়েকটি বাতিতে সীমাবদ্ধ। বাকি অংশ অন্ধকারে থাকে, যা রাতে রোগী ও স্বজনদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সরেজমিনে, দোতলায় উঠার সিঁড়িতে বেশ ময়লা। মেঝেতেও ময়লার দাগ। দেয়ালের কোথাও কোথাও কফ, থুতু ও পানের পিকের দাগ লেগে আছে। রোগীদের শৌচাগার দীর্ঘদিন পরিষ্কার না নোংরা হয়ে আছে।

এ ছাড়া বেসিনের অবস্থাও নাজুক। এসব নিয়ে রোগী ও স্বজনরা নিয়মিত অভিযোগ করলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।

গোপালপুর থেকে আসা রোগী মৌসুমি আক্তার বলেন, হাসপাতালের খাবারের মান ভালো না। আমরা সব সময় বাইরে থেকে কিংবা বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসি। পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। স্যালাইন ছাড়া আর কোনো ওষুধ দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

মৌসুমি আক্তারের ১০ বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়ার ভাষ্য, হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে বমি বমি ভাব হয়েছিল। পরে টয়লেট না করেই চলে এসেছি।

রহিমা নামের এক রোগীর আত্মীয় বলেন, হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা খুবই বাজে। কোনো সময়ই পরিষ্কার করা হয় না। কোনো মানুষ এখানে টয়লেট করতে পারেন না। হাসপাতালের লোকজন কোনো কাজ করে না। আমরা খুব কষ্টে হাসপাতালে অবস্থান করি, দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবাহান বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের সরবরাহ নেই। টয়লেট পরিষ্কার করার মতো লোক নেই। বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে কাজ করাতে করতে হয়।

এ ছাড়া এক বছর ধরে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় সিজার হচ্ছে না। এসব বিষয় সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। তবুও আমরা যথাযথ সেবা দিয়ে যাচ্ছি।