ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪২ হাজার টাকায় রফাদফা: গাঁজা ধরে ছেড়ে দিলো টাঙ্গাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

টাঙ্গাইলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারিকে আটক করে ৪২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে কয়েক দিন যাবত টাঙ্গাইল জেলা শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও গোয়েন্দা সূত্রে, গত (৯ এপ্রিল) রাত ৭ টায় টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিবের নেতৃত্বে সদর উপজেলা বিল বাথুয়াজানী গ্রামের মো. মাসুদ মিয়ার (৩৮) বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ অভিযানে টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (এস.আই) মো. রহমত আলী, এএসআই মো. আরিফুল হক, এএসআই আবু সাঈদ, সিপাহী প্রদীপ, নারী সিপাহী সুমিতা, সিপাহী হাফিজ, সিপাহী আশিক ও সিপাহী রিপনসহ মোট ৯ জন অংশ নেয়।

অভিযানের সময় ১ কেজি গাঁজাসহ মাসুদ মিয়াকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরবর্তীতে মাসুদ মিয়াকে ছাড়াতে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। মাসুদের মা মোছা. মালা বেগম প্রতিবেশী নাসিমা বেগম, মো. নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. হাবুল মিয়ার নিকট হতে ধার করে এবং তাদের নিজের কাছে থাকা ৪২ হাজার টাকা ঘুষ দেন।

ঘুষের টাকা পাওয়ার পর মো. মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেয় এবং অভিযানে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি মর্মে একটি ভিডিও ধারণ করে তারা চলে আসেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিব বলেন, আমরা অভিযান করার পর মাসুদের কাছে গাঁজা বা অন্য কোন মাদক না পাওয়ায় চলে আসি। আমাদের নামে ঘুষ নেয়ার যে বিষয়টি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যাতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করতে না পারে সে জন্য একটি চক্র তৎপর রয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি মাসুদের বাড়িতে এসে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আপনার পরবর্তীতে অবগত করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৪২ হাজার টাকায় রফাদফা: গাঁজা ধরে ছেড়ে দিলো টাঙ্গাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

আপলোডের সময় : ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারিকে আটক করে ৪২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে কয়েক দিন যাবত টাঙ্গাইল জেলা শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও গোয়েন্দা সূত্রে, গত (৯ এপ্রিল) রাত ৭ টায় টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিবের নেতৃত্বে সদর উপজেলা বিল বাথুয়াজানী গ্রামের মো. মাসুদ মিয়ার (৩৮) বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ অভিযানে টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (এস.আই) মো. রহমত আলী, এএসআই মো. আরিফুল হক, এএসআই আবু সাঈদ, সিপাহী প্রদীপ, নারী সিপাহী সুমিতা, সিপাহী হাফিজ, সিপাহী আশিক ও সিপাহী রিপনসহ মোট ৯ জন অংশ নেয়।

অভিযানের সময় ১ কেজি গাঁজাসহ মাসুদ মিয়াকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরবর্তীতে মাসুদ মিয়াকে ছাড়াতে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। মাসুদের মা মোছা. মালা বেগম প্রতিবেশী নাসিমা বেগম, মো. নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. হাবুল মিয়ার নিকট হতে ধার করে এবং তাদের নিজের কাছে থাকা ৪২ হাজার টাকা ঘুষ দেন।

ঘুষের টাকা পাওয়ার পর মো. মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেয় এবং অভিযানে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি মর্মে একটি ভিডিও ধারণ করে তারা চলে আসেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিব বলেন, আমরা অভিযান করার পর মাসুদের কাছে গাঁজা বা অন্য কোন মাদক না পাওয়ায় চলে আসি। আমাদের নামে ঘুষ নেয়ার যে বিষয়টি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যাতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করতে না পারে সে জন্য একটি চক্র তৎপর রয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি মাসুদের বাড়িতে এসে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আপনার পরবর্তীতে অবগত করা হবে।