
অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল ৬৪ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে নানারকম গুঞ্জন। সে সবের কোনো ভিত্তি যদিও ছিল না। তবে, গত ৬ মার্চ ফিফার এক অনলাইন সভায় ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেন উরুগুয়ের প্রতিনিধি।
এবার তেমন প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়েছে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা কনমেবল।
২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৮ দলের প্রথম বিশ্বকাপ। এর চার বছর পর, ২০৩০ সালের আসরেই দল সংখ্যা ৬৪ করতে চায় কনমেবল।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দোমিনগেস এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে সব দেশ এই বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ পাবে এবং বিশ্বের কেউ এই আনন্দের মঞ্চের বাইরে থাকবে না। আমাদের মতে, (বিশ্বকাপের) শতবর্ষ উদযাপন অনন্য একটা ব্যাপার, কারণ ১০০ বছরের উপলক্ষ একবারই উদযাপন করা যায়।’
কনমেবলের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বিশ্বকাপের শতবর্ষে ২০৩০ সালের আসরকে তিনি ‘অসাধারণ মাইলফলক’ বলেছেন।
কনমেবলের প্রস্তাবকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হলে, ৬৪ দলের ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ সংখ্যা দাঁড়াবে ১২৮; ১৯৯৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আসরগুলোয় যেখানে ম্যাচ হতো ৬৪টি।
অবশ্য ৬৪ দলের বিশ্বকাপ ভাবনা শুরু থেকেই তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। সমালোচকদের মতে, এক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বের মান অনেক পড়ে যাবে।
আর্থিকভাবে আরও বেশি লাভবান হতে এবং খেলাটিকে বিশ্বময় আরও ছড়িয়ে দিতে ও উন্নতি করতে ফিফা সভাপতি অবশ্য বরাবরই বৈশ্বিক আসরে দল বাড়ানোর পক্ষপাতি।
তবে, ৪৮ দলের বিশ্বকাপেই খেলার মান অনেকটা পড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সমালোচকদের অনেকে।