
কালিহাতী উপজেলায় বীর বাসিন্দা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের ১৫ জন নেতা-কর্মীর বিরদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কালিহাতী উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সোহেল সিকদার ও তার চাচাতো ভাইকে গত (২৮ মার্চ) ইফতারের পূর্ব মুর্হুতে জিলাপী ভাজা গরম তেল নিক্ষেপ ও এলোপাথারী আঘাত করে হত্যা চেষ্টা করা হয়।
গত (২৮ মার্চ) কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের কস্তুরীপাড়া বাজার মাদ্রাসা মার্কেটে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আহত সোহেল সিকদারের বড় ভাই শাহীন সিকদার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জানান, বিএনপি করার কারণে ২০১১ সালে আমার বাবা শাজাহান সিকদারকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়।
যা বর্তমানে টাঙ্গাইল ২নং অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। সেই মামলার যারা আসামী তারাই আমার ছোট ভাইকে গরম তেল নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং চাচাতো ভাইকে মাথায় এলোপাথারী আঘাত করে।
কারণ ঐই মামলা প্রত্যক্ষদর্শী ও একমাত্র অর্থবহনকারী আমার ছোট ভাই সোহেল সিকদার।
গত (৩০ মার্চ) আমি শাহীন সিকদার ঘটনার জড়িত কালিহাতী উপজেলার রাজাফৈর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে মামুদ (৫০) আলীকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের নামে নামে কালিহাতী থানায় একটি মামলা করি।
আওয়ামী লীগের শাসন আমলে আমাদের ১৪ টা মিথ্যা মামলা করে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা ব্যাপক ভাবে নির্যাতিত। আমি চাই জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
আহত সোহেল সিকদার জানান, বিএনপি নেতা ডা.শাহ আলম তালুকদারের ইফতার মাহফিলে যাওয়া সময় দুই দফায় তারা আমাদের উপ হামলা করে। আবুবকর নামে লোকটা আমার উপর গরম তেল নিক্ষেপ করে।
পরে আমার চাচাতো ভাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখান থেকে জখম গুরুত্ব থাকায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করে।
এ ঘটনা জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান যায় তারা পালিয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (ভিপি) রফিক জানান, সোহেল সিকদার ও তার পরিবার আমাদের দলের লোক। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। দলের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, মামলা নিয়েছি, মামলার আইয়ো তিন দিনের জন্য অন্য থানায় ডিউটি থাকায় গ্রেফতার হচ্ছে না। তবে আমরা আসামীদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। আশা করি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পারবো।