ঢাকা , শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের পরেও বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ: বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

ডেস্ক প্রবাহ :

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও অসংখ্য ঘরমুখো মানুষকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। তবে, বাড়তি ভাড়ার নৈরাজ্যে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাস না পেয়ে বিকল্প যানবাহন হিসেবে খোলা ট্রাকযোগে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেকেই চেষ্টা করছেন।

কিন্তু তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ঘরমুখো মানুষদের। গণপরিবহন না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের।

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন, যমুনা সেতু পূর্ব গোল চত্বর ও সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম পাড়ের এলাকা ঘুরে দেখা যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ কম সংখ্যক উত্তরবঙ্গ ও ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল করছে।

এ সময় পরিবহনে ঢাকাগামী বাসের ভাড়া কম নিলেও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন।

অপরদিকে গন্তব্যে পৌঁছতে কাঙ্ক্ষিত বাসও পাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলেও ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা করে চাচ্ছেন বাস পরিবহনগুলো।

যমুনা সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনে বাড়ি ফিরতে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ৫৬ বছর বয়সী জহুরা বেগম। তিনি জানান, তার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশতলী এলাকায়। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন যমুনা সেতু এলাকায়।

বাসের জন্য দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বসে রয়েছেন। বাস পাচ্ছে না, মাঝে মধ্যে পেলেও ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা চাচ্ছেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকার ইদ্রিস হোসেন বলেন, যমুনা সেতু পূর্ব বাস স্টেশনে ৪ ঘণ্টা ধরে বসে আছি, বাস থামে না। খোলা ট্রাকও চলছে না তেমন। মাঝে মধ্যে বাসের দেখা মিললেও কয়েক গুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ৬ জনের ভাড়া চাচ্ছে ৪ হাজার ২০০ টাকা।

অথচ ঈদের সময় বাদে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকাতেই গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।

বাস মালিক ও শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে জানায়, ঈদের সময়। এই সময়ে কিছু টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। সারাবছর তো নেওয়া হয় না। তাছাড়া দূরপাল্লার পরিবহনগুলোর টিকেট আগেই বিক্রি করা হয়েছে। তবুও সাধারণ যাত্রীদের কথা ভেবে ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হয়। ঈদের কয়েক পর তো অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষদের কাছ থেকে পরিবহনগুলোর অতিরিক্ত বাড়তি ভাড়া আদায় রোধে ভূঞাপুর, কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলার ইউএনও-এসিল্যান্ড সজাগ রয়েছে।

কোনো যাত্রীর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টা/প্র/অ/০১/০৪/২৫।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ঈদের পরেও বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ: বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

আপলোডের সময় : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

ডেস্ক প্রবাহ :

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও অসংখ্য ঘরমুখো মানুষকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। তবে, বাড়তি ভাড়ার নৈরাজ্যে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাস না পেয়ে বিকল্প যানবাহন হিসেবে খোলা ট্রাকযোগে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেকেই চেষ্টা করছেন।

কিন্তু তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ঘরমুখো মানুষদের। গণপরিবহন না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের।

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন, যমুনা সেতু পূর্ব গোল চত্বর ও সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম পাড়ের এলাকা ঘুরে দেখা যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ কম সংখ্যক উত্তরবঙ্গ ও ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল করছে।

এ সময় পরিবহনে ঢাকাগামী বাসের ভাড়া কম নিলেও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন।

অপরদিকে গন্তব্যে পৌঁছতে কাঙ্ক্ষিত বাসও পাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলেও ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা করে চাচ্ছেন বাস পরিবহনগুলো।

যমুনা সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনে বাড়ি ফিরতে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ৫৬ বছর বয়সী জহুরা বেগম। তিনি জানান, তার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশতলী এলাকায়। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন যমুনা সেতু এলাকায়।

বাসের জন্য দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বসে রয়েছেন। বাস পাচ্ছে না, মাঝে মধ্যে পেলেও ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা চাচ্ছেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকার ইদ্রিস হোসেন বলেন, যমুনা সেতু পূর্ব বাস স্টেশনে ৪ ঘণ্টা ধরে বসে আছি, বাস থামে না। খোলা ট্রাকও চলছে না তেমন। মাঝে মধ্যে বাসের দেখা মিললেও কয়েক গুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ৬ জনের ভাড়া চাচ্ছে ৪ হাজার ২০০ টাকা।

অথচ ঈদের সময় বাদে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকাতেই গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।

বাস মালিক ও শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে জানায়, ঈদের সময়। এই সময়ে কিছু টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। সারাবছর তো নেওয়া হয় না। তাছাড়া দূরপাল্লার পরিবহনগুলোর টিকেট আগেই বিক্রি করা হয়েছে। তবুও সাধারণ যাত্রীদের কথা ভেবে ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হয়। ঈদের কয়েক পর তো অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষদের কাছ থেকে পরিবহনগুলোর অতিরিক্ত বাড়তি ভাড়া আদায় রোধে ভূঞাপুর, কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলার ইউএনও-এসিল্যান্ড সজাগ রয়েছে।

কোনো যাত্রীর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টা/প্র/অ/০১/০৪/২৫।